এইচ এস সি "আঠারো বছর বয়স" কবিতা ব্যাখ্যা

--আঠারো_বছর_বয়স--
{এইচএসসি- বাংলা ১ম}
↓←গুরুত্বপূর্ণ লাইনের ব্যাখ্যা←↓
🔸▪আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ▪
→ (ইতিবাচক দিক) এ বয়সে বড়দের ওপর নির্ভরশীলতা পরিহার করে জীবনের দুঃসহ অবস্থার মধ্যে তরুণদের পড়তে হয়।
▪স্পর্ধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি,▪
→ তরুণরা স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে চলার ঝুঁকি এ বয়সেই নিয়ে থাকে।
▪বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি।▪
→ দুঃসাহসী স্বপ্ন, কল্পনা, উদ্যোগ এ বয়সী তরুণদের মধ্যে দেখা যায়।
▪আঠারো বছর বয়সের নেই ভয়▪
→ এ বয়সের মানুষেরা নির্ভীক।
▪পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা,▪
→ সকল বাধা-বন্ধনকে তুচ্ছ মনে করে এগিয়ে যায়।
▪এ বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়-▪
→ এ বয়সের তরুণরা কখনো মাথা নোয়ায় না। অনমনীয় থাকে।
▪আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা▪
→ এ বয়সে মানুষ আত্মপ্রত্যয়ী হয় বলে শৈশব কৈশোরের কান্না এ বয়সে থাকে না। এ বয়ষের মানুষ অধিকার আদায় করে নেয়।
▪এ বছর বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য▪
→ মানবজাতির কল্যাণে এ বয়সের তরুণেরা রক্তমূল্য দিতে জানে। জীবনের ঝুঁকি নেয়াকে পবিত্র কাজ মনে করে।
▪বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে,▪
→ এ বয়সের মানুষ গতিমান।
▪প্রাণ দেওয়া-নেওয়া ঝুলিটা থাকে না শূন্য▪
→ এ বয়সের তরুণেরা মানব মুক্তির জন্য প্রাণ দেয়া-নেয়াকে স্বাভাবিক মনে করে।
▪সঁপে আত্মাকে শপথের কোলাহলে।▪
→ নবজীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তরুণেরা সংগ্রাম করার শপথ নেয় এবং সেই কোলাহলে আত্মাকে সমর্পন করে।
▪আঠারো বছর বয়স ভয়ংকর
→ (নেতিবাচক দিক)
তাজা তাজা প্রাণে অসহ্য যন্ত্রণা,▪
→ এ বয়স অনেক সময় ভয়েরও। কারণ চারদিকে অন্যায়, অত্যাচার দেখে তরুণরা যন্ত্রণায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
▪এ বয়সে প্রাণ তীব্র আর প্রখর▪
→ এ বয়সে অনুভুতি তীব্র হয় এবং মনে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
▪এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা।▪
→ ভালো-মন্দ নানা মন্ত্রণা এ বয়সেই তরুণদের কানে আসে এবং তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
▪আঠারো বছর বয়স যে দুর্বার
পথে প্রান্তরে ছোটায় বহু তুফান,▪
→ আঠারো বছর বয়স থেমে থাকার নয়। সর্বত্র গতি সঞ্চার করে তরুণরা।
▪দুর্যোগে হাল ঠিকমতো রাখা ভার
ক্ষত-বিক্ষত হয় সহস্র প্রাণ।▪
→ এ বয়সের তরুণরা সঠিক সিদ্বান্ত নিতে ব্যর্থ হলে জীবনে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
▪একে একে হয় জড়ো,
এ বয়স কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে▪
→ এ বয়সে সঠিকভাবে জীবন পরিচালনা করতে ব্যর্থ হলে অজস্র ব্যর্থতার দীর্ঘশ্বাস এ বয়সের কালো অধ্যায়ে পরিণত হয়।
▪এ বয়স কাঁপে বেদনায় থরোথরো।▪
→ এ বয়সের সঙ্গে তাই বেদনার সম্পর্ক বিদ্যমান।
▪তবু আঠারোর শুনেছি জয়ধ্বনি,▪
→ তারপরও এই বয়স সর্বদাই জয়লাভ করে। কবি এ বয়সের ইতিবাচক দিককে বড় করে দেখছেন।
▪এ বয়স বাঁচে দুর্যোগে আর ঝড়ে,
বিপদের মুখে এ বয়স অগ্রণী▪
→ জাতীয় জীবনের দুর্যোগে এ বয়স অগ্রভাগে রাখে তরুণদের।
▪পথ চলতে এ বয়স যায় না থেমে▪
→ প্রগতি ও অগ্রগতির পথে নিরন্তর ছুটে চলা এ বয়সের বৈশিষ্ট্য।
▪এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।▪
→ প্রথাবদ্ধ জীবনকে পেছনে ফেলে বলে এ বয়সের তরুণেরা দুর্বার গতির প্রতীক। তাই কবি প্রার্থনা করেন এসব বৈশিষ্ট্য যেন জাতীয় জীবনের শক্তি হয়ে দাঁড়ায়। মানূষের বয়স যতই হোক না কেন, সবার জীবনে যেন আঠারো বছর বয়সের মতো প্রেরণা আসে। ইতিবাচক অর্থে এই বয়সের ব্যবহার হওয়া চাই।

Comments